ইয়াবার বিকল্প এনপিএস!
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গুদাম ও শান্তিনগরের অভিযানে প্রায় সাড়ে ২৮ কেজি নেশাদ্রব্য জব্দ করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এটি আমাদের দেশে নতুন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানায় , এই নেশাদ্রব্য আফ্রিকার দেশগুলোতে আনেক পূর্ব থেকেই প্রচলিত। তবে সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদকের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ভেষজ নেশার পাতা।
এ ধরনের বিকল্প নেশাদ্রব্যগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে নিউ সাইকোট্রফিক সাবটেনসেস বা এনপিএস নামে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, ইথিওপিয়া ২৭ অগাস্ট একটি পার্সেল পাঠানো হয় নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজ নামের এক কোম্পানির ঠিকানায় । আন্তর্জাতিক একটি মাদকবিরোধী সংস্থা বাংলাদেশকে আগেই সতর্ক করেছিল।
মো. নাজিম (৪৭) নামের এক ব্যক্তি শুক্রবার (৩১ আগস্ট) ওই পার্সেল আনতে গেলে তাকে আটক করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। এবং পাওয়া যায় ৪০০ কেজি এনপিএস।
খোরশেদ আলম জানায় , নাজিমকে গ্রেপ্তারের পর তাকে অভিযান চালালে আরো সাড়ে ৪০০ কেজি একই ধরনের নেশাদ্রব্যের পাতা উদ্ধার করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, গ্রিন টির মত প্যাকেটে করে এই নেশাদ্রব্য আনা হয়েছে যা দেখতে চায়ের পাতার মত দেখতে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজিম জনানা, মাদক হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি তার অজানা । ইথিওপিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে ঢাকায় পাঠানো পাতা গুলো আমেরিকা ও ইউরোপের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা ।সেজন্য সে প্রতি কেজিতে পাবে ৪ ডলার।
শুকনো ওই পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। ওই পাতায় থাকা ক্যাথিনোন ও ক্যাথিন অ্যালকালয়েড থাকে বলে ইয়াবার মতই নেশা হয় বলে আবু হাসান জানান।
তিনি আরো বলেছেন, এই নেশাদ্রব্য যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে বা দীর্ঘ সময় জেগে থাকতে সাহায্য করে । এটি সেবনে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
