ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২


সাংবাদিক গৌতম হত্যা মামলায় ৫ জনের সাজা বহাল


৩১ জানুয়ারী ২০১৯ ০২:১৫

ফাইল ছবি

সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মধ্যে পাঁচজনের সাজা বহাল রেখে চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-অর রশীদ।

আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা, আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম, আইনজীবী সৈয়দ আলী মোকাররম, আইনজীবী আওলাদ হোসেন, আইনজীবী মো. আব্দুর রশীদ ও ওমর ফারুক ।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলে জানিয়েছে।

২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারক মো. শাহেদ নূরউদ্দিন নয়জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, রাজিব হোসেন মনা, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মর্তুজা ওরফে অ্যাপলো ও তামজিদ হোসেন বাবু।

এর মধ্যে হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজিব হোসেন মনা। বাকি পাঁচ জনের সাজা বহাল রয়েছে।

২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনা করে ফরিদপুরের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। পরে বিচার কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জুন রায় ঘোষণা করেন।

২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো অফিসে ঢুকে সাংবাদিক গৌতমকে নির্মমভাবে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ওইদিনই সমকাল পত্রিকার পক্ষে বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ৯ জানুয়ারি আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

/আনু