সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ ও সায়মনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

গ্যাটকো মামলায় সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী কে এম মোশাররফ হোসেন ও প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সাইমনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আজ (বৃহস্পতিবার) এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিনে তারা আদালতে হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র না পাওয়ায় মোশাররফ হোসেন ও সায়মনের পক্ষে তার আইনজীবীরা আদালতে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামি মারা গেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।