গয়েশ্বরের পুত্রবধূ রিমান্ডে

নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাসহ আরও ছয় জনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম শত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।
রিমান্ডের অন্য আসামিরা হলেন ইউনুস মৃধা, আবুল হাশিম সবুজ, মামুন আর রশিদ, আমির হোসেন ও মো. মহাসিন।
গত বুধবারের এই সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবারও ৩৮ জনকে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। একই দিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হন নিপুন। বুধবারের সংঘর্ষের সময় তাকে লাঠি হাতে মিছিলে দেখা গেছে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট তিনটি মামলায় ৪৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পল্টন থানা আওয়ামী লীগ।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম নিপুনসহ সাত আসামিকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আর নিপুনের বাবা নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউন্নাহ মিয়াসহ প্রমুখ আইনজীবীরা জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই জালালউদ্দিন আহমেদ জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দ-বিধির কয়েকটি ধারায় দায়ের করা পল্টন থানার একটি মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালমা হাই টুনি বলেন, ‘পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, তা জানতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’
বিষয়টি নিয়ে নিপুণের বাবা নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমার মক্কেলরা কোনোভাবেই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত নয়। সরকার নিজেরা এসব করে তাদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিয়েছে।’
বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়, ভাংচুর করা হয় অনেক গাড়ি।
পুলিশ বলছে, তারা সবাই বিএনপির কর্মী, যদিও বিএনপি তা অস্বীকার করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছে।
এই ঘটনায় করা মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা সামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবী।
এমএ