আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি পেছাল

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি পিছিয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতির দফতর সূত্রে জানা গেছে, বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেয়ায় বুধবার শুনানি হবে না। এর আগে, পরবর্তী শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এত সহিংসতায় লজ্জা প্রকাশ করে সবমৃত্যু খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এছাড়া ছয় সমন্বয়ককে কোন আইনে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তা নিয়েও উচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলেন।
অন্যদিকে রিটের ঘোর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মিডিয়া কাভারেজ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ রিট করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কারী তাদের আদালতে আনতে একটা নির্দেশনা চেয়েছিল এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটা আদেশ চেয়েছিল। দেড় পাতার একটা পিটিশন, যার মধ্যে কিছু নেই। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক কিছু নেই, সেখানে তারা যে শুনানি করছেন, বাইরের জিনিস নিয়ে যা শুনানি করার এখতিয়ার নেই। বুধবার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে। এরপরই আদেশ দেবেন উচ্চ আদালত।
এর আগে, সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ঐ রিটে কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।