ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যুদ্ধাপরাধ: ত্রিশালের পাঁচজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড


২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৪

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

অপর দুই সদস্য বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

প্রসঙ্গত, এ মামলায় আসামি আটজন। এরমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২) ও মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩)।

গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন- মো. হরমুজ আলী (৭৩), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। আর দুইজন আসামি পলাতক। তারা হলেন- ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯) ও মো. ফখরুজ্জামান (৬১)।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মামলার আসামি করা হয় মোট আট জনকে।

পরের বছর ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আট জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিচার শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল।

এই মামার আট আসামির মধ্যে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা যান। অপর ৫ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। আর পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

আইকে