ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২


রায় শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর


১১ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৪৮

ফাইল ফটো

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলেছে। তবে শুধু ২১ শে আগস্ট নয়, এর আগেও বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় তাকে হত্যার অপচেষ্টা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার (১০ অক্টোবর) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সংগঠন অ্যাটকো’র পরিচালকবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের সময় ডিবিসি টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুরুল ইসলাম রায়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন তিনি নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন। সেদিনের সমাবেশের আগে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনুমতি চাওয়ার পর তাকে বা দলের সাধারণ সম্পাদক কিংবা দায়িত্বশীল কাউকে অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়নি। কিন্তু রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল গেটের নিচে দিয়ে অনুমতির একটি চিঠি রেখে আসা হয়। যা পরদিন অফিস খোলার আগ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি।

কিন্তু ততোক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং নেতাকর্মীরা আসতেও শুরু করেন। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে আর মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করা সম্ভব ছিল না। বিএনপি-জামায়াত সরকারের পক্ষ থেকে সুচতুরভাবেই এমনটা করা হয়েছিল যাতে আওয়ামী লীগ মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করতে না পারে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগের দিন রাতে তারেক রহমান তাদের বাড়িতে ছিল না, ছিল ধানমণ্ডিতে তার শ্বশুর বাড়িতে। রাতে তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এর পরই খালেদা জিয়া বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এসব প্রমাণ করে, ওই বিদ্রোহেও তাদের হাত ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে তার জনসভায় গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা ও হতাহতের কথা উল্লেখ করেন। সরকার প্রধান বলেন, ওই ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা লুতিফুল মুন্সিকে বিএনপি-জামায়াত সরকার নানাভাবে পুরস্কৃত করেছিল।

বুধবার ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন বিচারক।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

এসএমএন