মানিলন্ডারিং মামলায় সেই পাপিয়ার বিচার শুরু

মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ পাঁচজনের বিচার শুরু হয়েছে।
রোববার ঢাকা ৮ নম্বর বিশেষ জজ বদরুল আলম ভুঁইয়া ওই মামলায় চার্জগঠনের আদেশ দিয়েছেন।
শুনানিকালে অস্ত্র আইনের মামলায় ২৭ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাপিয়া ও তার স্বামীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে করাকর্তৃপক্ষ।
চার্জগঠন হওয়া অপর আসামিরা হলেন- পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
মামলাটিতে গত বছর ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।
গত বছর ১২ অক্টোবর এ দম্পতিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত অস্ত্র মামলায় ২৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুজন সঙ্গীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
ওই ঘটনায় মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে শেরেবাংলা নগর ও বিমানবন্দর থানায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাগুলোয় দুই দফায় তাদের ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে দুদক এ দম্পত্তির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি এবং সিআইডি পুলিশ মানিলন্ডাং আইনের একটি মামলা করে। ৫টি মামলার মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলাতেই প্রথম রায় ঘোষণা করেছে আদালত।