ফেসবুকে রাস্ট্রবিরোধী স্ট্যাটাসে শিবির ও যুবদলের ৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাস্ট্র ও সরকার বিরোধী বিভ্রান্তিকর, গুজব ও মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়ায় শিবির ও যুবদলের ৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নরসিংদীর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ ফেব্রুয়ারী এ মামলা দায়ের করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ। সদর সি, আর মামলা নং ২১০/২০২১ । বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে ১ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
দঃ বিধির ৪৯৯/৫০৬/৩৪ ধারায় করা মামলার আসামীরা হলেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র শিবির নেতা ও লক্ষীপুর জেলার সদর থানার বাঙ্গাখাঁ গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র নওশীন মোস্তারী মিয়া সাহেব (https://www.facebook.com/msaheb.mohon, নিউমেরিক আইডি 100005185124462), সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানার বিবিদইল গ্রামের মুহাম্মাদ আছাব উদ্দিনের পুত্র ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের ছাত্র শিবিরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম আহমেদ(https://www.facebook.com/sayem.ahmed, নিউমেরিক আইডি 100000532825590), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চরনগরদী গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র যুবদল নেতা শরীফ রানা (https://www.facebook.com/sharif.rana.14, নিউমেরিক আইডি=100001804565051) ও ঢাকা জেলার আব্দুর রহমানের পুত্র জামায়াত শিবির নেতা আল আমিন (বাসা ৮০, পশ্চিম ধোলাইপাড়, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুর)https://www.facebook.com/alamin.rana.79, নিউমেরিক আইডি 100001071551221।
মামলার বিবরনে বলা হয়, ওই ৪ নেতা ফেইসবুক ইউজার আইডি লিংক থেকে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, সচিব, বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমন করে স্টেটাস দিয়ে আসছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কর্মকান্ডকে কটাক্ষ করে বিভ্রান্তমূলক তথ্য সরবরাহ ও গুজব রটাচ্ছে। এমনকি সেনা, পুলিশ ও র্যাব বাহিনীর সন্মান ক্ষুন্ন করার মত বিভ্রান্তমুলক তথ্য প্রদান করে আসছে। তাদের এসব পোস্টের কারণে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং সরকারের প্রতি নেতিবাচক ধারণার প্রভাব পড়ছে। মামলার সংগে আসামিদের ফেসবুক স্টেটাসের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) সুত্র জানায়, এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার সৃষ্টিকারী এক হাজারেরও বেশি আইডি চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের নাম ঠিকানা এয়ারপোর্টগুলোতে দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পযার্য় ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এরা দেশ থেকে বিদেশ যেতে গেলে এবং বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হবেন। এরইমধ্যে ৪০ মামলায় অন্তত ৫৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।