ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর


২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৪

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগের মামলায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন আসামি পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রদান করতে পারেন নাই উল্লেখ করে সাহেদকে বেকসুর খালাস প্রদানের পার্থনা করেন। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্কের শুনানিতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন মর্মে অস্ত্র আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শেষ করেন। তার আগে এ মামলায় একই আদালত গত ২৭ আগস্ট এ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। সে হিসেবে বিচার শুরুর এক মাসের মাথায় এ মামলায় রায় হতে যাচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের এ মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া নেগেটিভ ও পজেটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করেন।

ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের ২কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ৬ হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।

একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন।