ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় প্রথম দিনেই সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ জগলুল হোসেন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, এ মামলার একমাত্র আসামি হলেন মজনু। অভিযোগ পত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনসহ মামলার আলামত হিসেবে ২০ ধরনের জিনিসপত্র জব্দ দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। গত বছরের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এসময় আসামি মজনু তাকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তার গলা চেপে ধরেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন আসামি মজনু।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেফতার করে। পরে আসামি মজনু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে জবানবন্দি দেন।