স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা ও স্বামীকে গুম করার অভিযোগ

রাজধানীর দক্ষিণখানে স্বামীকে গুম এবং বৃদ্ধ শ্বাশুড়িকে জিম্মি ও নির্যাতন করে নাজমা আক্তার অনিতা নামে প্রতারক এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাড়ি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী লিমনকে গুম এবং ভাই ফজলুর রহমানকে হত্যা ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকির বিষয়ে পরিবার থানায় জিডি করেছেন। দক্ষিণখান থানার ওসি সেকান্দার মো.শামীম হোসেন এই সব ঘটনায় জিডির বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় তিনটি জিডি করেন ফজলুর ইসলাম খান সুমন এবং তার মা।
স্ত্রীর নাম নাজনা আক্তার অনিতার, বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান, তার বাসা কাউলার গোয়ালবাড়ির মোড়। তার স্বামী লিমন ১৫ জুলাই থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ফজলুর ও লিমনের বাড়ি রাজধানীর কাউলাতে। সেখানকার মৃত.এহসান আলী খানের ছেলে তারা। গত ১৯ জুলাই দক্ষিণখান থানায় লিমনের নিখোঁজের ঘটনায় আরেকটি জিডি করেন তার মা। পরিবারের দাবি লিমনকে অনিতারা গুম করেছে।
এই বিষয়ে নাজনা অনিতার কাছে জানতে চাইলে অনিতা লিমনের নিখোঁজের বিষয়টি স্বীকার করে কিন্তু জোরপূর্বক বাড়ি লিখে নেয়ার ঘটনা অস্বীকার করে।
৫ বছর আগে নাজনা আক্তার অনিতা প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করে গোপনে ফজলুরের ছেটি ভাই লিমনকে বিয়ে করে। বিয়েতে লিমনকে বাধ্য ও জোরপূর্বক ৬০ লাখ টাকা দেনমোহর করে নাজনা ও তার পরিবারের প্রতারক চক্র। এরপর নাজনা অনিতার বাসায় শুরু হয় লিমনের বদ্ধ জীবন। অনিতা ও তার বোন প্রতারক চক্রের বিভিন্ন অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে সহযোগিতা না করলে লিমনের ওপর শুরু হয় দিনের পর দিন শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। লিমন নাজনার ৩ নম্বর স্বামী। প্রথম স্বামী রুবেলের কাছে প্রতারণামূলক দেনমোহরের ৬০ লাখ টাকা নিয়ে অনিতা তালাক প্রাপ্ত হয়। উক্ত সংসারে ১৪ বছরের রাহা নামে একটি কন্যা সন্তানও আছে। রাহা অনিতার সাথেই বসবাস করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাজনা অনিতার পূর্বের একজন স্বামী বলেন, প্রতারনার মাধ্যমে,বিয়ে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া এদের কাজ। গত সাত বছর আগে দেনমোহরসহ সব হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে অনিতার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।