প্রতারক সাহেদের যত কুকীর্তি

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. সাহেদকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
করোনার নমুনা পরীক্ষার মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবার মামলা হলেও ধীরে ধীরে তার সব অপকর্ম সামনে চলে আসছে। এই মামলার আগে তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা খুঁজে পেয়েছে র্যাব। এসব মামলায় আগে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন৷
জানা গেছে, সচতুর প্রকৃতির সাহেদ ২০১০ সালের দিকে ধানমন্ডি এলাকায় বিডিএস ক্লিক ওয়ান এবং কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি (কেকেএস) নামে দুটি এমএলএম কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২টি মামলা খুঁজে পেয়েছেন র্যাব। এর বেশিরভাগই প্রতারণা মামলা। কারণ প্রতারণা করে অর্থ-সম্পদ গড়ে তোলাই ছিল তার মূলকাজ। এ জন্য করোনামহামারি চলাকালেও স্পর্শকাতর একটি বিষয়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে বিবেকে বাঁধেনি তার।
গত ৬ জুলাই তার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযানের পর প্রতারণার দায়ে রিজেন্ট হাসপাতাল ও প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে নিয়মিত মামলাও।
গ্রেপ্তার হয়েও যেভাবে ছাড়া পান সাহেদ
২০১০ সালের দিকে সাহেদ ধানমন্ডি এলাকায় বিডিএস কিক ওয়ান এবং কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি (কেকেএস) নামে দুটি এমএলএম কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১১ সালে প্রতারণা মামলায় সাহেদ একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে দ্রুতই তিনি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর প্রতারণার অর্থ দিয়ে তিনি রিজেন্ট গ্রুপ নামে ব্যবসা শুরু করেন। চালু করেন রিজেন্ট হাসপাতাল। কিন্তু ২০১৪ সালেই এই হাসপাতালের লাইসেন্সর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।