ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামালকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ


৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১৮

প্রতারণা মামলায় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আসামির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের এ আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই আওলাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান রাজনীতির সুবাদে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের পরিচিত। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আটকের কয়েকদিন আগে পুলিশ আসামিকে (কায়সার কামাল) গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। ওই সময় আসামি বাদীর বাসায় আশ্রয় চান। বাদী সরল বিশ্বাসে আশ্রয় দেন। সুযোগের অপব্যবহার করে এবং বাদীর স্ত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ ফেলে বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত সপ্তাহতিনেক আগে বাদী দেখতে পান যে, কলাবাগান থানাধীন সার্কুলার রোডে বাদীর স্ত্রী আসামির গাড়ি থেকে নামছে। এ বিষয়ে বাদীর শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য সদস্য আসামিকে বুঝানোর পরেও তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি।

গত ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে বাদী আসামির গাড়ি ফলো (অনুসরণ) করে কলাবাগান থানাধীন শেলটেক টাওয়ারের সামনে আসেন। সেখানে বাদী দেখতে পান, তার স্ত্রী আসামির গাড়িতে উঠছে। এরপর বাদী তাদের গতিরোধ করে সাক্ষী মোহনসহ উপস্থিতিদের সহায়তায় আসামিকে ধরে ফেলে। আসামি প্রতারণার মাধ্যমে বাদীর মন ও সুনামের ক্ষতি সাধন করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, যাদের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে অথচ তারাই যদি এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করেন- তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আসামি যে কাজ করেছেন- তা মূর্খ মানুষেরও মানায় না।

অপরদিকে আসামিপক্ষে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার কাজল, গোলাম মোস্তফা খান, বোরহান উদ্দিন, মকবুল হোসেন প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেছে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করার জন্য। কায়সার কামাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আসামি ও বাদী আমাদের বন্ধু। সবাই আইনজীবী, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে। তাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সন্দেহের কারণে মামলা হয়েছে। পারিবারিকভাবে দুই দিনের মধ্যে মামলাটা আমরা শেষ করে ফেলব। এছাড়া মামলাটি জামিনযোগ্য ধারার। তাছাড়া আসামিও অসুস্থ। যে কোনো শর্তে আমরা আসামির জামিনের প্রার্থনা করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন ও রিমান্ড নাকচ করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের ওই আদেশ দেন।

নতুনসময়/আইকে