দুপুরে আটক, বিকেলে জামিন পেলেন বিএনপি নেতারা

হাইকোর্টের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ও যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপি নেতাদের জামিন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আবু সাইদ পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে ১০ হাজার মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটকে বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ, যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর দুটুর ১২টার সময় পাঁচ শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে ব্যানার, ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা, লোহার রডসহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, অবৈধ সরকারের পতন চাই’সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটকের সামনে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন, এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হন। এ সময় তারা ২০-২৫টি গাড়ি ভাংচুর করেন।
ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। এতে ১৫ থেকে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ মামলাতেই মেজর হাফিজ ও খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়।