বুয়েটে র্যাগের নামে হস্তমৈথুনের অভিনয় করানো হতো

বুয়েটের হলে হলে র্যাগের নামে চলত ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আবরার হত্যার পর থেকেই নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের মুখে উঠে আসছে এসব নির্যাতনের বর্ণনা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘আমাদের হলে শুরু থেকে প্রতিটি বুধবার রাত আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিলো। কারণ এইদিন আসলেই আমাদের ডাক পড়তো র্যাগ খাবার জন্য। বিশ্বাস করেন, আমাদের র্যাগ মোটেই কোনো সুন্দর কিছু ছিল না।
আমাদের শুরু থেকেই হাওয়াই চেয়ার বানানো হতো, অসংখ্যবার কান ধরে উঠবস করানো হতো, বুকডন দেয়ানো হতো। এগুলো তাও আমরা মেনে নিতাম। আমাদের পর্নো দেখানো হতো জোর করে এবং বলা হতো আরেক ক্লাসমেটকে এভাবে করে দেখাতে। পর্নোতে যে রকম শব্দ হয় ঠিক সে রকম করতে বলা হতো আমাদের।
আমাদের পর্নো দেখিয়ে হস্ত মৈথুনের অভিনয় করানো হতো। চুপচাপ করলেও হতো না, আমাদের ফিলিংস এনে শব্দ করতে বলা হতো। এ রকম না করলে আরো হুমকি করা হতো। ভাইরা মাঝে মাঝে বলতো কারো খারাপ লাগে কি না? খারাপ লাগে যদি বলতো কেউ তাকে আরো এক্সট্রিম আচরণ করা হতো।
নতুনসময়/এসএম