শেরপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় ৫ আসামি কারাগারে

শেরপুরের নকলায় ডলি খানম (২২) নামে অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর মামলায় ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের ৩ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দাস তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হচ্ছেন নির্যাতিতা গৃহবধূর ভাসুর আবু সালেহ (৫২), সলিমুল্লাহ (৪৪), জা লাখী আক্তার (৩৪), আত্মীয় তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২০)। এর আগে গত ২৫ জুন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট থেকে ৩ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন ওই ৬ আসামি। কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানোতে জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জয়শ্রী দাস লক্ষ্মী ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুন্নাহার সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সকলকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩ জুন আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী। এরপর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্রুত পদক্ষেপে গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়।