ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩২


রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় মাহবুবুর রহমানের ফাঁসি


২৭ জুন ২০১৯ ২৩:০২

মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২৪ এপ্রিল উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে রায়টি অপেক্ষমাণ রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

গত বছরের ২৮ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ আমলে নেয় আদালত। মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ গণহত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ আনা হয়। মাহবুবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আসামি মাহবুব ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জনকে নিয়ে রণদা প্রসাদের নারায়ণগঞ্জের বাসায় গিয়ে তাকে, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহাসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করে তাদের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। পরবর্তী সময়ে তাদের মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি মাহবুব টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশ এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটন করেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

উল্লেখ্য, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একসময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসা শুরু করে সেখানকার খানপুরের সিরাজদীখানে বসবাস শুরু করেন।


নতুনসময়/এমএন