ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১


সংকট আরও ভালোভাবে সামলানো যেতো: সু চি


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩১

অবশেষে  রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বোধোদয় ঘটলো মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির। তার সরকার‘রাখাইন ইস্যু’ আরও ভালোভাবে সামাল দিতে পারতো বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের মুখে রাখাইন থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও সু চি এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। এরপর তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সাফাই গাওয়ার ভূমিকাও পালন করেন। সবশেষ তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ‘বাংলাদেশের অসহযোগিতা’ আবিষ্কার করে সেটাকেই দায়ী করেন।

সু চি এমন স্ববিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত। তবে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এতোদিন পরে এসে স্বীকার করে নেন, তার সরকার ও প্রশাসন আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতো।

আসিয়ানের ওপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) বক্তৃতাকালে সু চি বলেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব পক্ষের প্রতি আমাদের সমান দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। সেজন্য কারা আইনের শাসনে সুরক্ষিত থাকবে তা আমরা নিজেরা নির্ধারণ করতে পারি না। তবে যেটা বোঝা যাচ্ছে, আমাদের সরকার পরিস্থিতি যেকোনো পন্থায়ই আরও ভালোভাবে সামাল দিতে পারতো।’’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য সংগ্রহে গিয়ে রয়টার্সের আটক হওয়া দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়েকে (২৮) এ মাসের শুরুতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমার আদালত। কথিত ‘রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই দণ্ডাদেশের পরে বিশ্বজুড়ে মিয়ানমার ও সু চির সমালোচনা আরও তীব্র হয়।

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিষয়ে সু চি বলেন, আইন লঙ্ঘনের কারণে তারা সাজা পেয়েছেন। তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

এই দণ্ডাদেশকে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত বললেও সু চির মতে, আইনের শাসন বজায় রেখেছে এই আদেশ এবং এতে বাকস্বাধীনতার কোনো ক্ষতি সাধন হয়নি।

আইএমটি