ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বিয়ে করতে চান তৃতীয় লিঙ্গের আমলা ঐশ্বরিয়া


১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:১৭

ভারত সরকারের উচ্চ পদে চাকরি করা প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ঐশ্বরিয়া ঋতুপর্ণা প্রধান। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিতার বৈধতা দেয়। তাই হয়তো মনের কোণে লালিত দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পূর্ণতা দিতে চান তিনি।

২০১৫ সাল পর্যন্ত ঐশ্বরিয়া পুরুষের পরিচয়েই পরিচিত ছিলেন। রতিকান্ত প্রধান নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে পুরুষ পরিচয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন তিনি। ভারতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নাগরিক হিসেবে মৌলিক অধিকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় ২০১৪ সালে। এরপরই নিজের আসল পরিচয় তুলে ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পাল্টে রাখেন ঐশ্বরিয়া ঋতুপর্ণা প্রধান।

তিনি বর্তমানে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের কর বিভাগের ডেপুটি কমিশনার পদে কর্মরত আছেন। ঐশ্বরিয়া (৩৪) ভারতের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। এবার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে চান তিনি। নিজের বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে চান তিনি।

অবশ্য গত দুই বছর ধরে ঐশ্বরিয়া প্রেমিকের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকছেন। এরও এক বছর আগে প্রেমিক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সমকামকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় সেই প্রস্তাবে তখন রাজি হননি ঐশ্বরিয়া। এবার সে বাধা কেটে যাওয়ায় ভারতের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় প্রেমিককে বিয়ে করতে চান তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া জানান, ‘ আমাকে নিয়ে স্কুলে শিক্ষকেরা উপহাস করতেন। আমার বন্ধুরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে যৌন হয়রানি করেছে। পুরুষালি আচরণ করতে বাবা আমাকে বাধ্য করতেন। কিন্তু আমি ভেতরে ভেতরে নিজেকে নারী মনে করতাম। মাঝে মধ্যে মায়ের সোনার গয়নাও পরতাম আমি। আমার ভালো লাগতো।’

তবে নিজের পরিচয় নিয়ে এখন আর কোনো দ্বিধা নেই ঐশ্বরিয়ার। চান প্রেমিককে নিজের জীবনসঙ্গীর মর্যাদা দিতে। ভবিষ্যতে একটি কন্যা শিশুও দত্তক নিতে চান ঐশ্বরিয়া। তাদের মেয়ে বড় হয়ে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এমনটাই তার স্বপ্ন। আর নিজেকে পরিচয় দেবে একজন তৃতীয় লিঙ্গের মায়ের সন্তান হিসেবে।

আইএমটি