ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চাকরি করতে হলে ঘুষ হিসেবে যৌন সুবিধা দিতে হবে


১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৮

কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য যৌন সুবিধা চাওয়া এবং তা দিতে রাজি হওয়াও এখন থেকে ঘুষ বলে গণ্য হবে। আর তাই ঘুষ বলতে শুধু আর আর্থিক লেনদেনকে বোঝাবে না।

খুব শিগগিরই এই সংশোধনী আইনের প্রস্তাবে যৌনতার বিষয়টিকে ঘুষের সংজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা করা হয়েছে দুর্নীতি নিরোধক (সংশোধনী) আইন-২০১৮ এর প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ভারত সরকার। ফলে আইনটি পাস হলেই চাকরি লাভের ক্ষেত্রে যৌন সুবিধা চাওয়া ও তাতে রাজি হওয়া— উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তারপরে ২০১৩-তে এই আইনে সংশোধনী এনে বেসরকারি ক্ষেত্রকেও দুর্নীতি নিরোধক আইনের আওতায় আনা হয়।

২০১৩-র সংশোধনীতেই দুর্নীতি নিরোধক আইনে সংশোধনী এনে ‘আইনি পরামর্শের জন্য অর্থ নেয়া’ ছাড়া যেকোনো অন্যায্য সুবিধা নেয়াকে ঘুষ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব এনেছিল ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়।

ভারত সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, সংশোধিত আইনে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো এবার থেকে যৌন সুবিধা নেয়া, বিভিন্ন ক্লাবের দামি সদস্যপদ বা যে কোনো অন্যায় সুবিধা পাওয়ার জন্য পদস্থ কর্তাদের গ্রেফতার করতে পারবে।

তিনি আরও জানান, অন্যায় সুবিধার আওতায় প্রায় সব কিছুই থাকছে নয়া আইনে। যেমন দামি উপহার, ছুটি কাটানো, বিমানের টিকিট কেটে দেয়া, পরিবার বা কাছের লোকের চাকরির ব্যবস্থা। এ ধরনের সুবিধা এবার থেকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে চলেছে।

২০১৫ সাল সে সংশোধনীর খসড়া খতিয়ে দেখে আইন কমিশন রিপোর্ট দেয়-উদ্দেশ্য ভালো হলেও আইনে ‘ন্যায্য সুবিধা’ ও ‘অন্যায্য সুবিধা’র বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা দরকার। না হলে তদন্তকারী সংস্থা আইনের এই ফাঁক ব্যবহার করে মানুষকে হেনস্থা করতে পারে। তার পরেই সংশোধিত আইনে সেটি স্পষ্ট করা হয়। সংশোধনী আইনটি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

আরআইএস