ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৩

ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘সুসময়ে কিংবা দুঃসময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট দেশ হিসেবে উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নও হয়েছে।’

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বরিশালে একটি অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শ্রিংলা বলেন, ১৯৭১ সালের এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতের বাহিনী একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। সেই সম্পর্ক এখন আরও মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াসে এই সম্পর্ক অনবদ্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।’

শ্রিংলা বলেন, ‘ভারত এখন বাংলাদেশে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাবনা, পটুয়াখালী, জামালপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও যশোরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল এবং যৌথভাবে বন্দর, সড়ক, রেলপথ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে ভারত।’

মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি ও চেক নিয়ে শ্রীংলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি ও চেক প্রদানের যে প্রকল্প সেটা প্রথম ২০০৬ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার ৬২১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং ২১ কোটি টাকার একটি তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনটি উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এগুলো হলো, নতুন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা।

হাইকমিশনার বলেন, ২০১৭ সালে নতুন মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে স্নাতক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং এই উদ্দেশ্যে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পুরাতন এবং নতুন প্রকল্পগুলো একত্রিত হলে ভারত সরকারের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্পের জন্য মোট ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থী মাসুদা খানম ইমাকে চেক বিতরণের মধ্যে দিয়ে পর্যায়ক্রমে ১২০ শিক্ষার্থীকে চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

এমএ