ঢাকা শনিবার, ২৫শে অক্টোবর ২০২৫, ১১ই কার্তিক ১৪৩২


যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ দিয়েছিলেন পারভেজ মোশাররফ!


২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩৩

সংগৃহীত

চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে যখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, তখন দেশটির পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতো যুক্তরাষ্ট্র। বিপুল অর্থের বিনিময়ে ওয়াশিংটনকে এই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলেন মোশাররফ— ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু।

 

মূলত, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ইতিহাস বেশ পুরনো। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এবং গণমাধ্যমগুলো বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের শাসনামলে দেশটির ভেতরে-বাইরে মার্কিন প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।

 

এবার এই ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জন কিরিয়াকু। জানান, ২০০১ সালের পর পাকিস্তানে মার্কিন প্রভাব এতটাই বেড়ে যায় যে, তা ছিল অনেকটাই অর্থের বিনিময়ে পারভেজ মোশাররফকে কিনে নেয়ার মতো।

 

তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম তখন বিপুল ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছিল। তবে, এই অর্থ কোনখাতে ব্যয় হতো কেউ জানতো না। পারভেজ মোশাররফকে কার্যত যুক্তরাষ্ট্র কিনে নিয়েছিল।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা মোশাররফের সাথে নিয়মিত দেখা করতাম। প্রচুর অর্থ দেয়া হতো তাকে। তার ভয় ছিলো এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জঙ্গিদের কাছে চলে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রেকে দিয়ে রাখেন তিনি।

 

কর্মজীবনে সিআইএ'র সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অপারেশন্স এর প্রধান ছিলো কিরিয়াকু। নারী সেজে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন— সাক্ষাৎকারে এমন দাবিও করেন তিনি।

 

কিরিয়াকু বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের এক কমান্ডারের অনুবাদক ছিলেন একজন আল-কায়দা গুপ্তচর। মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজের আড়ালে গোপনে জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে তথ্য পাচার করতো সে। এই অনুবাদকের সাহায়তা নিয়েই বোরকা পরে আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড় থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে যান লাদেন।

 

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নির্দেশে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের জনক আব্দুল কাদের খানকে হত্যা করা হয়নি বলেও জানান সিআইএ'র সাবেক এই কর্মকর্তা।