ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৫, ২রা কার্তিক ১৪৩২


পাকিস্তান-আফগানিস্তান সামরিক সক্ষমতায় এগিয়ে কে?


১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৯

সংগৃহীত

সরাসরি সংঘাতকে কেন্দ্র করে এবার আলোচনায় পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামরিক সক্ষমতা। দু'পক্ষের সমরশক্তি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রশ্ন উঠছে, ইসলামাবাদের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাধলে কতক্ষণ টিকতে পারবে কাবুল? পরিসংখ্যান বলছে— সেনা, বিমান কিংবা নৌ-শক্তিতে তালেবানের চেয়ে ঢের এগিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। তবে তালেবান যোদ্ধাদের গেরিলা সক্ষমতার কারণে বেশ ভুগতে হতে পারে পাক বাহিনীকে।

 

 

মূলত, একসময়ের মিত্র দেশ হলেও পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সম্পর্কটা এখন সাপে-নেউলে। স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের সাথে পাল্লা দিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। তাই এখন দু'দেশের সামরিক শক্তির ফারাকটাও বেশ বড়।

 

 

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১২তম সামরিক শক্তিশালী দেশ পাকিস্তান। বিপরীতে ১১৮ নম্বরে, তালিকার একদম নিচের দিকে অবস্থান আফগানিস্তানের। পাকিস্তানের মোট সেনাসদস্য ১৭ লাখ, যার মধ্যে সক্রিয় সাড়ে ৬ লাখ। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে রয়েছে দেড় লাখের মতো তালেবান যোদ্ধা। যাদের প্যারামিলিটারি হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

 

তালেবানদের কাছে মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া অনেক সামরিক যান থাকলেও, তা পাক সেনাবাহিনীর ভাণ্ডারের তুলনায় তা একেবারেই যৎসামান্য। ইসলামাবাদের কাছে শুধু ট্যাংকই রয়েছে দুই হাজারের বেশি। আর সামরিক যানের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। তবে কৌশলগত লড়াইয়ে বেশ পারদর্শী তালেবান।

 

 

আকাশপথের সক্ষমতায় পাকিস্তানের ধারে কাছেও নেই আফগানিস্তান। ইসলামাবাদের যুদ্ধবিমানের সংখ্যা যেখানে তিন শতাধিক, সেখানে কাবুলের ফাইটার জেটের সংখ্যা শূন্য। ৬টি হেলিকপ্টার থাকলেও তার মাত্র একটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া বেশ কয়েকটি আকাশযান রয়েছে তালেবানের কাছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর রয়েছে ৩৭৩টি হেলিকপ্টার। যার মধ্যে অর্ধশতাধিক কমব্যাট ক্যাপাবিলিটি সম্পন্ন।

 

 

পাকিস্তানের একটি সুসজ্জিত নৌবাহিনী থাকলেও সেই সুযোগই নেই আফগানদের। এর মূল কারণ- আফগানিস্তান একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। এক্ষেত্রে, পাকিস্তান নৌবাহিনীতে সব মিলিয়ে সামরিক জাহাজ ১২১টি।

 

শুধু সমরশক্তিতেই নয়, প্রতিরক্ষা বাজেটেও কাবুলের চেয়ে ঢের এগিয়ে ইসলামাবাদ। গড়ে প্রতি বছর যেখানে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার সামরিক ব্যয় করে পাকিস্তান, সেখানে তালেবান সরকারের খরচ মাত্র ২৯ কোটি ডলার।

 

 

উল্লেখ্য, বছরের পর বছর যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও তুরস্কের মতো দেশের সহায়তায় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। কিন্তু, দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দুর্দশা ও নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে প্রতিরক্ষা খাতে তেমন একটা সবল হতে পারেনি আফগানিস্তান।