ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৫, ১লা কার্তিক ১৪৩২


ফ্লোটিলার জাহাজগুলোকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী, একটিতে হামলা


২ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:০৪

সংগৃহীত

গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। বহরে ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ‘আলমা’ নামের জাহাজে ইতোমধ্যেই হামলা করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন, ফ্লোটিলায় যোগ দেয়া বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

 

বুধবার (১ অক্টোবর) তেল আবিবের বাধার কারণে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় জাহাজগুলোর লাইভ সম্প্রচার। গাজা থেকে মাত্র ৯০ নটিক্যাল মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থান করছে ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহরটি।

 

এর আগে, ফ্লোটিলার সামনের সারির জাহাজ ‘আলমা’-কে ইসরায়েলের একটি যুদ্ধজাহাজ আগ্রাসীভাবে কয়েক মিনিট ঘিরে রাখে। এ সময় জাহাজের সব নেভিগেশন ও যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। আলমা জাহাজের যাত্রী থিয়াগো আভিলা বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডে আলমা’র সব যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যায়। এতে ক্যামেরা, সরাসরি সম্প্রচার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়।

 

উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকায় ইসরায়েলের নৌবাহিনীর কাছ থেকে বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনার কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন ফ্লোটিলার কর্মীরা। ওই সময় ফ্লোটিলার নৌবহরের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল অপরিচিত বেশ কয়েকটি জাহাজকে।

 

ফ্লোটিলার কর্মীরা বলেছে, ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে বুধবার সকালের এই সংঘাতের খবর পাওয়ার পর তারা আবার গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।

 

তারা আরও জানায়, ইসরায়েলের জাহাজটি ফ্লোটিল্লার কয়েকটি জাহাজের দিকে এগিয়ে গিয়ে ‘বিপজ্জনক ও ভয়ভীতি দেখানোর কৌশল’ নেয়। আলমা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে পালিয়ে যাওয়ার পথ ধরতে বাধ্য করে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ। ফ্লোটিলার আরেকটি জাহাজকেও তারা হয়রানি করে।

 

এদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে সুমুদ নৌবহরটি কোনও মানবিক অভিযান নয়। এর যাত্রা মূলত ‘উসকানিমূলক’।