ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮শে ভাদ্র ১৪৩২


ট্রাম্পের প্রচারণা চালানো চার্লি কার্ককে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি করে হত্যা


১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৫

সংগৃহিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা চালানো বক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তার ওপর প্রাণঘাতী ওই হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এখনও কাউকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি।


এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল বলেছেন, এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তদন্ত এখনও চলছে।


গত বছর রিপাবলিকানদের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন ডানপন্থি মানবাধিকার কর্মী কার্ক। রক্ষণশীল চিন্তাধারা প্রচারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কের মাধ্যমে অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে কার্ক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ গুলির শব্দ হয় এবং কার্ককে গলায় হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তার গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেন্সার কক্স এই ঘটনাকে 'রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড' বলে অভিহিত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এক 'পার্সন অব ইন্টারেস্ট'-কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। একই সম্মেলনে ইউটাহ জননিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার বিউ ম্যাসন বলেছেন, সন্দেহভাজন হত্যাকারী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, দূরের কোনও ভবনের ছাদ থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল। প্রায় তিন হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশপ্রধান জেফ লং জানান, ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তা অনুষ্ঠানটি তদারকি করছিলেন এবং কার্কের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের সঙ্গেও তারা সমন্বয় করেছিলেন।

কার্কের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসের ধারণ করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আমার প্রশাসন খুঁজে বের করবে। এমনকি তাদেরকে যারা অর্থায়ন করেছে, তারাও ছাড় পাবে না।

কার্কের সম্মানে আগামী রবিবার পর্যন্ত সরকারি সব ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।