শুক্রবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

‘বিগ অ্যান্ড বিউটিফুল বিল’ কার্যকর করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আর কোনো বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশ হয়ে গেল বিলটি। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টায় এ বিলে স্বাক্ষর করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পরেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
বহুল আলোচিত বিলটি মার্কিন আইনসভা বা কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে আগেই অনুমোদন পেয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিলটি নিম্নকক্ষে পাশ হয়। এ সময় বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২১৮টি, আর বিপক্ষে পড়ে ২১৪টি।
শুরু থেকেই কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত এই বিলটি নিয়ে আপত্তি ছিল দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির। ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউও বিলটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তবে ভোটের ফল বলছে, চার ভোটের ব্যবধানে বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায় করেছে। অবশ্য, বর্তমানে মার্কিন আইনসভার দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রাম্পের দল।
বিলটি হাউসে পাশ হওয়ার পরে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিলে সই করতে চলেছি। এটা দেশকে রকেট গতির উন্নতিতে পৌঁছে দেবে। দারুণ ব্যাপার হতে চলেছে।’
হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯০০ পাতার বিলটি ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্টের দপ্তরে পৌঁছে গেছে। শুক্রবার ভোরে তাতে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, এ দিনটাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস।
বিলটিতে যেমন কর সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তেমনই প্রতিরক্ষা খাতে, বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসী হটানোর কাজে বড় অঙ্কের টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর ট্রাম্প নিজেও দাবি করেছেন, আমেরিকার সুরক্ষার জন্য এটা বড় পদক্ষেপ।
বিলে নিম্ন আয়ের ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি থেকে বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যেই বিলটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে আমেরিকাজুড়ে।
তা ছাড়া এই বিল কার্যকর হলে অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা খাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা সহজ হয়ে যাবে।
সপ্তাহখানেক আগেই ট্রাম্পের বিলের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের তথা একদা ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ওই বিল আইনে পরিণত হলে তা হবে রিপাবলিকান পার্টির ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’র শামিল।
মাস্ক এক্স বার্তায় লেখেন, ‘বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান ধ্বংস করে দেবে। এটা একটি উন্মাদীয় ও ধ্বংসাত্মক।’
যদিও নতুন এই বিলটিকে বরাবরই ‘বিগ অ্যান্ড বিউটিফুল’ বলেই ব্যাখ্যা করে এসেছেন ট্রাম্প। সূত্র: এএফপি