তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করলো চীনা যুদ্ধবিমান

আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের পরেই তাইওয়ানকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরেছিল চীন। এবং তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ফের রবিবার তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি।
সোমবারই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন ইন্ডিয়ানা প্রদেশের গভর্নর এরিক হলকোম্বের বৈঠক হবে। সেখান থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাবেন এরিক।
দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, রবিবার তাইওয়ানের আশেপাশে অন্তত ১২টি চিনা যুদ্ধবিমান এবং ৫টি চীনা রণতরী সনাক্ত করা হয়েছে। তাইওয়ানিজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, ৫টি চিনা যুদ্ধ বিমান এদিন তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
সফরের আগে টুইট করে এরিক জানিয়েছিলেন, “চলতি সপ্তাহে আমি নতুন সম্পর্ক গড়ার কাজ করব। সেই সঙ্গে পুরোন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলিও আবার নতুন করে গড়ে তুলব। তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
তাইওয়ানকে ঘিরে চিনের এই উস্কানিমূলক সামরিক মহড়ার মধ্যে তাইওয়ানের অধিকাংশ জনগণ শান্ত থাকলেও, একাংশের তাইওয়ানিজ জনতা যুদ্ধ-সহ সমস্তরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।অধিকাংশ তাইওয়ানিজ জনগণ শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হবে না বলে আশাবাদী।
তবে, একাংশের জনগণ যুদ্ধকালীন সময়ে ফার্স্ট এইড কীভাবে করতে হয়, তার প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন। সামরিক বাহিনীর ডাক্তারদের কাছ থেকে তারা ব্যান্ডেজ বাঁধা, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা, রক্ত বন্ধ করা থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসার সকল পাঠ নিচ্ছেন। গত কয়েক দশক ধরেই নানা চীনা হুমকির মুখে পড়েছে তাইওয়ান।
তবে এখনও পর্যন্ত দ্বীপরাষ্ট্রটি দখলের জন্য শক্তি প্রয়োগ করেনি চীন। কিন্তু তাইওয়ানিজ জনতা মনে করছে ইদানীং চীনা হুমকি আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাই তাঁরা মনে মনে প্রমাদ গুণছেন। বারবার আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার মুখে পড়লেও পিছু হটেনি লালফৌজ, বরং আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে তারা।লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং।
সূত্র: দা হিন্দু