ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


জর্জ ফ্লয়েডের শহরে আবারও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা, বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র


১২ এপ্রিল ২০২১ ২২:২১

গেল বছরের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় গোটা বিশ্ব প্রতিবাদে এক হয়েছিল। বছর না ঘুরতেই সেই মিনিয়াপোলিস শহরেই পুলিশের গুলিতে ২০ বছর বয়সী দান্তে রাইট নামে এক তরুণ নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় রবিবার (১১ এপ্রিল) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পর শহরটিতে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গেল বছরের মে মাসে জর্জ ফ্লয়েডকে যে স্থানটিতে হত্যা করা হয়েছিল, সেখান থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে এবার দান্তে রাইকে গুলিকে হত্যা করলো পুলিশ। দান্তের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

এদিকে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক দান্তে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার রাতে কয়েকশো বিক্ষুব্ধ জনতা ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ বিভাগ ভবনের বাইরে জড়ো হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা পুলিশ রাবার বুলেট ছোটে এবং রাসায়নিক দ্রব্যের ধোঁয়ার সৃষ্টি করে।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যসহ অনেক এলাকায় পুলিশ-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

নিহত দান্তের মা ক্যাটি রাইট ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে দান্তে তাকে ফোন দিয়ে বলেছিল, পুলিশ তার গাড়ি থামিয়েছে। কারণ, দান্তের গাড়ির রিয়ার ভিউ মিরর (পেছনে দেখার আয়না) থেকে এয়ার ফ্রেশনারের ক্যাল ঝুলছিল, যা মিনেসোটার আইনে অবৈধ। তিনি শুনতে পাচ্ছিলেন, পুলিশ তার ছেলেকে গাড়ি থেকে বের হতে বলছিল।

সন্তান হারানোর শোকে কাঁদতে কাঁদতে দান্তের মা আরও বলেন, ‘আমি ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। পুলিশ কর্মকর্তাদের বলতে শুনেছি, ‘দান্তে, দৌড়িও না’। ফোন কেটে গেলে ছেলের নাম্বারে আবার ফোন দিই। ছেলের বান্ধবী ফোন রিসিভ করে জানায়, দান্তে আর বেঁচে নেই।’

মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি ব্রুকলিন সেন্টারে বিক্ষোভের খবরাখবর রাখছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আরও এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহতের ঘটনায় পুরো অঙ্গরাজ্যে শোকের হাওয়া বিরাজ করছে।

ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় রবিবার দুপুর ২টার একটু আগে এক ব্যক্তির গাড়ি থামায় পুলিশ। পরে পুলিশ দেখতে পায় ওই ব্যক্তির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চাইলে তিনি গাড়িতে ফিরে যান। এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করে।

গুলির ঘটনা তদন্ত চলছে বলে অঙ্গরাজ্যের ব্যুরো অব ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশন জানিয়েছে।