ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি, নিহত ৫


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫৫

সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে প্রতিবাদ। তা বন্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। রবিবার পুলিশের গুলিতে পাঁচ প্রতিবাদকারী নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স, আলজাজিরা।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাউই ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ গুলি করে পাঁচ জনকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিক কিয়াও মিন হটিক।

স্থানীয় গণমাধ্যম দাউই ওয়াচের প্রতিবেদনেও পাঁচ ব্যক্তি নিহত এক ডজনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ ও ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্রের মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গণমাধ্যমের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে কয়েকজন লোককে ধরাধরি করে প্রতিবাদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের কয়েকজনের দেহ রক্তাক্ত। তারা কীভাবে আঘাত পেয়েছেন তা পরিষ্কার না হলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তাজা গুলির কথা বলা হয়েছে।

মিয়ানমার নাও গণমাধ্যম গোষ্ঠী জানিয়েছে, লোকজনকে ‘গুলি করা’ হচ্ছে; কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ স্টান গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করছে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ছে।

নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ব্যাপক জয় পায়। তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারবন্দি করে রাখে। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। কোনো কোনো দিন বিক্ষোভে লাখো প্রতিবাদকারী যোগ দিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলো অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে, কয়েকটি দেশ সীমিত কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।

দেশটির সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং বলেছেন, প্রতিবাদ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করছে এবং পুলিশ রবার বুলেট ব্যবহারের মতো ন্যূনতম শক্তি ব্যবহার করছে।

তারপরও প্রতিবাদ সমাবেশগুলোকে ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ছয় বিক্ষোভকারী ও একজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।