ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


হোয়াইট হাউজে যাওয়ার লড়াইয়ে চলছে ভোট


৪ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৩৯

সংগৃহিত

বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। হোয়াইট হাউজে যাওয়ার লড়াইয়ে চলা এ ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখছে মার্কিনীরা।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের ভোট কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এ আনুষ্ঠানিকতা।

এরই মধ্যে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোর থেকেই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে ঐতিহ্যগতভাবে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে সবার আগে ভোটগ্রহণ হয় উত্তর হ্যাম্পশায়ারের দুটি ছোট শহর।

সিএনএন জানায়, নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ডিক্সভিল নচ শহরের একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষ হয় রাতের প্রথম প্রহরেই। এই কেন্দ্রে পাঁচটি ভোট পড়েছে। তার সব ভোট পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।

ওই এলাকার ঐতিহ্য অনুযায়ী ভোটাররা সোমবার (২ নভেম্বর) মধ্য রাতে ভোট দিতে ব্যালসামস রিসোর্টে যান। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতের প্রথম প্রহরে একটি কক্ষে গিয়ে প্রত্যেকে ভোট দেন।

এছাড়া মিসফিল্ড নামের একটি এলাকায় একটি কেন্দ্রে একইভাবে ২১টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ ভোট এবং বাইডেন পেয়েছেন ৫ ভোট।

আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসন, এবং সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৫ আসনেরও ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ভোটগ্রহণ শুরু হলেও এরইমধ্যে নয় কোটি ৬০ লাখ ভোটার ডাকযোগে বা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই সংখ্যা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বমোট যে ভোট পড়েছিল তার প্রায় ৭০ শতাংশ।

সর্বশেষ ভোটার জরিপের ফলাফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৫২ পয়েন্ট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (৪৪ পয়েন্ট) চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বুধবার থেকে ভোট গণনা শুরু হবে।

এবারের নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে বলে উভয় প্রার্থী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে গেলে কেউ সে ফলাফল মেনে নেবেন না। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।