ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন আলোর জাদুকর


৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫৪

ফাইল ফটো


যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডার তিন বিজ্ঞানী এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন । শুধুমাত্র আলো নিক্ষেপ করে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা জীবাণুকে সড়ানো আর লেজারের শক্তিকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার যুগান্তকারী কৌশল উদ্ভাবন করেছেন তারা।

লেজার গবেষক আর্থার আশকিন, জেরার্ড মুরু এবং ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের নাম নোবেল পুরস্কারের তালিকায় উঠে এসেছে । রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার (২ অক্টোকর) এই পুরস্কার ঘোষণা করেন।

পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড নামে ৫৫ বয়সী এক নারী গবেষক। তিনি হলেন মেরি কুরি ও মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ারের পর পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী তৃতীয় নারী। ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড মূলত কানাডীয় নাগরিক।

অপর দিকে ৯৬ বছর বয়সী মার্কিন গবেষক আর্থার আশকিন হলেন পদার্থবিজ্ঞানের নোবেলজয়ী সবচেয়ে বেশি বয়সী বিজ্ঞানী।

নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে আশকিন পাবেন অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ড ভাগ করে নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

১৯২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জন্ম নেওয়া আর্থার আশকিন ১৯৮৭ সালে যখন অপটিকাল টুইজার নামের চমকপ্রদ উদ্ভাবনটি করলেন, তখন তিনি কাজ করছিলেন বেল ল্যাবরেটরিজে। তার ওই উদ্ভাবনকে নোবেল কমিটি তুলনা করেছে সায়েন্স ফিকশনের গল্পকে বাস্তবে পরিণত করার সঙ্গে।

আশকিনের অপটিকাল টুইজার হল আক্ষরিক অর্থেই লেজার রশ্মির তৈরি চিমটা, যা দিয়ে অতিক্ষুদ্র কণা, পরমাণু, ভাইরাস আর জীবন্ত কোষ ধরে কোনো ধরণের ক্ষতি না করেই ইচ্ছেমত নড়াচড়া করা বা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরানো সম্ভব।

আর্থার আশকিকের সেই অপটিকাল টুইজার জৈবিক গবেষণাকে আরও সূক্ষ্ণ পর্যায়ে নিযে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


নোবেল কমিটি ফরাসি বিজ্ঞানী জেরার্ড মুরু এবং কানাডীয় গবেষক ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে লেজার রশ্মির পালসের দৈর্ঘ্য ছোট করে এনে এর শক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার কৌশল উদ্ভাবনের জন্য।

১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই বৈপ্লবিক গবেষণার ধারণাটি প্রথমবারের মত সামনে আনেন দুই বিজ্ঞানী। পরে এর ওপর ভিত্তি করেই স্ট্রিকল্যান্ড তার পিএইচডি গবেষণা করেন।

তাদের উদ্ভাবিত ‘চার্পড পালস এমপ্লিফিকেশন’ বা সিপিএ পদ্ধতি এখন সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের চোখের সূক্ষ্ণ অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আলবার্ট আইনস্টাইনের অপেক্ষবাদ তত্ত্বের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বাস্তবে শনাক্ত করার গবেষণার জন্য রাইনার ভাইস, কিপ এস থর্ন ও ব্যারি বারিশ গতবছর পদার্থে নোবেল পেয়েছিলেন।
বুধবার (৩ অক্টোবর) রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৮ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

এসএসএন