ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


হাউথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইয়েমেনের ১১ সেনা নিহত


১৮ আগস্ট ২০২০ ০০:৪০

ছবি অনলাইন

ইয়েমেনের রাজধানী সানার উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলের হাউথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং তাদের সঙ্গে সংঘাতে জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাসহ দেশটির সরকারি বাহিনীর ১১ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আজ (১৭ আগস্ট) সামরিক বাহিনী এবং হাসপাতাল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল রোববার বেদখল হয়ে যাওয়া এলাকা উদ্ধারে আর জাউফ প্রদেশে মুখোমুখি হয় বিদ্রোহী এবং দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় বিদ্রোহীদের হামলায় ১২২ বিগ্রেডের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ আলি রোকনসহ ৯ সেনা সদস্য নিহত হন।

সামরিক সূত্র জানায়, সংঘাতে বিদ্রোহীদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীরা আল জাউফ প্রদেশের উত্তরাঞ্চল দখলে নেয়। কৌশলগত এলাকাটির দখল নিয়ে এখন মারিব প্রদেশের খনি থেকে তেল উত্তোলন হুমকিতে ফেলেছে।

সাবা নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলি মোহসেন আল আহমার বলেন, আল জাউফে সামরিক অভিযান চালানোর সময় নিহত হয়েছেন জেনারেল আল রোকন।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, সানার পূর্বাংশে মারিব সেনাঘাঁটিতে হাউথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরো দুই সেনা সদস্য নিহত হয়। এসময় আহত হয় ৪ জন।

আল বাইডা প্রদেশেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। অঞ্চলটি সরকারে নামমাত্র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই অঞ্চলে হাউথি বিদ্রোহী এবং সরকারি বাহিনী আল কায়েদা বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে।

বাইডা ঘাঁটিকে আরব উপত্যকায় থাকা আল কায়েদার সবচেয়ে ভয়ংকর কেন্দ্র বলে বিবেচনা করা হয়। ওই ঘাঁটি থেকে সরকারি বাহিনী এবং হাউথি বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালাচ্ছে আল কায়েদা।

গত শনিবার বাইডা ঘাঁটিতে এক দন্তচিকিৎসককে অপরহণ করা হয়। আল কায়েদার দাবি, ওই ব্যক্তি সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি ড্রোন হামলায় মার্কিন বাহিনীকে সহায়তা করতো।

ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীরা গেলো ৫ বছর ধরে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লড়াই করে যাচ্ছে। দু’পক্ষের সংঘাতে নিহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনে পৃথিবীর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

যুদ্ধবিরতির অব্যাহত আহ্বান উপেক্ষা করেই দু’পক্ষ সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সারাবিশ্ব করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সেখানে মহামারীর দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষ পীড়িত ইয়েমেনে মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ইয়েমেনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮ জন মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে এবং মারা গেছে ৫৩০ জন।