লিবিয়ায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ জাতিসংঘের
লিবিয়ায় সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি গণকবরে যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকতে পারে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইঙ্গিত দেয়। এরপরই উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠন করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। খবর আলজাজিরা।
সোমবার (২২ জুন) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন লিবিয়ায় সব ধরণের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠন করতে কমিশনের প্রধান মিশেল ব্লাচেটের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদক দেশ উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই অস্থির হয়ে রয়েছে দেশটি। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে কার্যকর রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতারের সরকারটিও বেশ কয়েকটি দেশের সমর্থন পাচ্ছে।
লিবিয়ার বিভিন্ন কারাগার ও আটক কেন্দ্রে নির্যাতন ও যৌন হয়রানির খবর সম্প্রতি সামনে আসে। জাতিসংঘ এক প্রস্তাবে এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বিশেষজ্ঞরা ২০১৬ সাল থেকে লিবিয়ার বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঘটনা নথিবদ্ধ করবেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিযুক্ত লিবিয়ার জাতিসংঘ দূত তামিম বাইয়ু বলেছেন, এই প্রস্তাব পাস ভবিষ্যতের উন্নত লিবিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
