ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


স্কুলের পথেই গণধর্ষনের অপেক্ষা...


১ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০৭

অন্যান্য দিনের মতো নবম শ্রেণির ১৪ বছর মেয়েটি স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনজন তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন জায়গায় গনধর্ষণ করে তাকে। এদিকে রাত হয়ে গেলেও স্কুল থেকে ছাত্রীটি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনও হদিশ পায়নি।

পরে অনেক রাতের দিকে তিন যুবক বাইক নিয়ে এসে নাবালিকা ছাত্রীটিকে তার দাদুর বাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে দাদুর বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে ছাত্রীর বাবা, মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানায়।

এমন ভাবেই স্কুলের পথেই অপেক্ষা করেছিল বিপদ। চেনা পথেই যেন এমন বিভীষিকা অপেক্ষা করে থাকবে, তা হয়তো ভাবতেও পারেনি মেয়েটি।

শনিবার সকাল থেকেই মনমরা ছিল ছাত্রীটি। পরে দাদুর বাড়িতে লোকলজ্জার ভয়ে কীটনাশক খেয়ে ফেলে সে। বাড়ির লোকজন ছাত্রীটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে শনিবার রাতের দিকে জামতলায় কুলতলির ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়।

ছাত্রীর পরিবার এই ঘটনায় তিন জন অভিযুক্তের বিরূদ্ধে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে এ দিনই বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।

নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ ছব্বিশ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার পশ্চিম বাণীরধল গ্রামে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মইনুদ্দিন মোল্লা।

একজন গ্রেফতার হলেও ঘটনার পর থেকেই বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। আত্মঘাতী ছাত্রীর পরিবারের দাবি, অবিলম্বে বাকি দু’ জনকে গ্রেফতার কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

আরআইএস