ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


‘মাত্র ৩ জন আমাকে ধর্ষণ করেছে, আমি ভাগ্যবান’!


২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:১৮

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মিয়ানমার সেনারা কীভাবে রাখাইনে পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে রাখাইনের অন্তত ১০টি গ্রামে ঢুকে সেনারা প্রকাশ্যে ও পরিবারের সদস্যদের সামনে ৪০ নারী ও কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। অবস্থাটা এতটাই ভয়ঙ্কর যে, ধর্ষিত এক রোহিঙ্গা নারী তদন্তকারীদের কাছে বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান, মাত্র তিনজন আমাকে ধর্ষণ করেছে!’

এদিকে, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদন, ফেইসবুকে সেনাপ্রধানকে নিষিদ্ধ করাসহ সবশেষ সেনাবাহিনীর মিথ্যাচারমূলক বই প্রকাশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মিয়ানমার সরকার। এমনকি খোদ ইয়াঙ্গুনবাসীও এর নিন্দা জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া ও দায় এড়াতেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী একের পর এক মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার ছবিসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘ট্রু নিউজ’ নামে যে বই প্রকাশ করেছে তা এখন দেশটির সবার হাতে হাতে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মিথ্যা তথ্য সংবলিত বই পড়েও অনেকেই তা বিশ্বাস করে নিয়েছেন।

একজন বলেন, ‘এ বইটা আমাদের দেশের জন্য অনেক উপকারে আসবে। বিদেশের মানুষ জানে না আসলে এখানে কী ঘটছে। এ বইয়ের মাধ্যমে এখন সবাই সত্যটা জানতে পারবে।’

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিয়ানমারের অনেক নাগরিককে বোকা বানালেও বিশ্ববাসীর কাছে নাইপিদোর মুখোশ উন্মোচন করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

কেআই