ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রোহিঙ্গা হত্যা-ধর্ষণের প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে


২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০৪

রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনী পরিকল্পিত সহিংসতা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে হত্যা ও ধর্ষণ এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত সহিংসতার যথেষ্ঠ প্রমাণ যুক্তরাষ্টের হাতে আছে বলে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জানান।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন ফান্ড ঘোষণা করা হয়ে। এই ঘোষণার পরেই যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতার অভিযোগ এনেছে।

গত এপ্রিলে ১ হাজার ২৪ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার গ্রহণের ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে এ সাক্ষাতকার গ্রহন করা হয়।

এর আগে জাতিসংঘ জনায়, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন চালিয়েছে। তবে গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন শব্দটি মার্কিন প্রতিবেদনে এড়িয়ে চলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ব্যাপকহারে এবং বৃহৎ পরিসরে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা চালানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনের বেশ কয়েকটি সেনা ও পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এ সহিংসতা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সমন্বিত ছিল যা সেনাবাহিনীর ওই অপারেশন দেখে বোঝা যায় বলে মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে, সাক্ষাতকার নেয়া ৮২ শতাংশ রোহিঙ্গাই ব্যক্তিগতভাবে হত্যাকাণ্ডের এবং ৫১ শতাংশ যৌন সহিংসতার ঘটনার সাক্ষী।

আইএমটি