ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ভাষার স্বীকৃতি পেতে আদিবাসীদের রেল অবরোধ


২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪৭

ছবি সংগৃহীত
সাঁওতালি ভাষার স্বীকৃতিসহ নয় দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন আদিবাসীরা। সোমবার সকাল থেকেই আদিবাসীরা অবরোধ শুরু করেন। তাদের অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায় ট্রেন চলাচল।
 
এই দাবিতে প্রথমে ‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহাল’ নামে একটি আদিবাসী সংগঠন অবরোধের ডাক দেয়। তাতে সমর্থন দেয় আদিবাসী সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ’। পরে এই অবরোধের রেশ ছড়িয়ে পড়ে আদিবাসী অধ্যুষিত পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যাতেও। 
 
অবরোধের কারনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা দেওয়া দূরপাল্লার বহু ট্রেন আটকে পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। পাশাপাশি স্থলপথেও যোগযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
 
সাঁওতালি ভাষাকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত স্বীকৃতির পাশাপাশি অলচিকি হরফের বই প্রণয়ন, সাঁওতাল ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের বদলি না করা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়নসহ মোট নয় দফা দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
 
সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ শুরু করেছেন আদিবাসীরা। এর ফলে বহু লোকাল ট্রেনের যাত্রা যেমন বাতিল করা হয়েছে, তেমনি বহু স্টেশনে আটকা পড়েছে দূরপাল্লার ট্রেন। অবরোধের ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
 
অবরোধের কারনে উড়িষ্যা ও দক্ষিণ ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গে দূরপাল্লার কোনো ট্রেন ঢুকতে পারছে না। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার ট্রেনগুলোও যেতে পারছে না। সকাল থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে ‘খড়গপুর-টাটানগর প্যাসেঞ্জার’, ‘জনশতাব্দী এক্সপ্রেস’, ‘স্টিল এক্সপ্রেস’, ‘ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস’, ‘ফলকনুমা এক্সপ্রেস’সহ দূরপাল্লার ট্রেনগুলো।
 
দাবি মানা না হলে এই অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আদিবাসীরা। ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি জাতীয় সড়কের ওপরও অবরোধ চলায় দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থাও থমকে গেছে।
 
‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহাল’-এর নেতা রবিন টুডু বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবি যতক্ষণ না মানবে, আমরা তত দিন এই অবরোধ চালিয়ে যাব।’
 
আরকেএইচ