ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ৬০ আবেদনের শুনানি আজ


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০৬

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা ৬০টি আবেদনের শুনানি আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। আইনটির বিরোধিতা করে আরও অনেকের মতো ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং আসামের ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল আসাম গণপরিষদ।

ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে হিন্দু, পারসি, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেখানে প্রতিবেশী দেশ থেকে যাওয়া মুসলিমদের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।

আবেদনকারীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, ধর্মের ভিত্তিকে কখনোই নাগরিকত্ব প্রদান করা যায় না। তারা আরও বলেন যে, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে।

গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, বাংলা এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। আসামে সহিংসতায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে দিল্লিতে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রোববার প্রতিবাদ মিছিল করার সময় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। পুলিশ ওই পদযাত্রা থামানোর চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে কেউ বা কারা পাথর ছুঁড়ে মারে, পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাস এবং দু’চাকার গাড়িও। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে পুলিশ ঢোকে, এমন অভিযোগেও উত্তাল হয় রাজধানী। শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটকেও রাখে দিল্লি পুলিশ, পরে যদিও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও আছড়ে পড়ে প্রতিবাদের ঝড়।

নতুনসময়/আইকে