ইরানের সন্ত্রাসী হামলায় ৮ সেনা নিহত
ইরানের খুজিস্তান প্রদেশে সামরিক কুচকাওয়াজে এক হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আট সেনা নিহত হয়েছেন। প্রদেশটির ডেপুটি গভর্নর আলি হোসেই হোসেনজাদেহ শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ হামলায় আট থেকে ৯ সেনা শহীদ ও অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
দুই অস্ত্রধারী এ হামলা চালিয়েছেন ও আহতদের মধ্যে এক নারী ও শিশু রয়েছেন বলে জানান ইরানীয় গনমাধ্যম সংবাদ সংস্থা ইরনা।
দেশটির আধা সরকারি সংবাদ মাধ্যম ফারস নিউজ জানায়, দুই জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বিপুল দর্শকদের ভিড়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিকে হামলার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তারা।
ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফারস নিউজ জানায়, খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে এসে হামলা চালায়।
ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরুর দিনটির স্মরণে দেশটির বিভিন্ন শহরে কুচকাওয়াজ হচ্ছিল। প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে ১৯৮০ সালে শুরু হয়ে পরবর্তী আট বছর এ যুদ্ধ চলে।
ইরাকের নৃতাত্ত্বিক কুর্দিশ অঞ্চলে সামরিক টহলে কুরিশ বিদ্রোহীরা নিয়মিতই হামলা চালায়। তবে একটি বড় শহরের সামরিক কুচকাওয়াজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার ঘটনা বিরল মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইরাক সীমান্ত বরাবর প্রদেশ খুজিস্থানে বসবাসকারী অধিকাংশই সুন্নি মুসলমান। ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাদ্দাম হোসেনের যুদ্ধে এটি ছিল অন্যতম সংঘাতস্থল।
রাজধানী তেহরানের পার্লামেন্ট ভবনে ও দেশটির বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমিনির মাজারে ২০১৭ সালের ৭ জুন হামলায় অন্তত ১৭জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছিলেন।
পাশ্চাত্যের উদ্বেগ সত্ত্বেও দেশের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, ইরান কখনোই নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা হ্রাস করবে না বরং দিন দিন তা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান।
আইএমটি
