ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


মানবিক ওসি’র অস্ত্রপাচার সফল, ভক্ত ও গুনগ্রাহীদের প্রার্থনা


১২ এপ্রিল ২০২১ ২১:০৬

ছবি- সংগৃহিত

রোগ,ব্যাধি,অসুস্থতা হলো কোন কোন দেহের বা মনের অস্বাভাবিকতা, অক্ষমতা, কিংবা স্বাস্থ্যহানি। যারা নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাই জানের এটি স্বাভাবিক জীবনের চেয়ে কতোটা কষ্টকর। তারপরেও মানুষ নানা কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে বেঁচে যান। যার ব্যাত্বয় ঘটেনি একাধিকবার পুরুস্কার প্রাপ্ত মানবিক ওসি আলহাজ নজরুল ইসলামে জীবনে।

ইতোমধ্যে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে টিউমার অপারেশান (অস্ত্রপাচার) সফল হয়েছে। মানবিক এই ওসির রোগ মুক্তির জন্য মসজিদে-মসজিদে দোয়া-সহ সৃষ্টিকর্তার নিকট পার্থনা করেছেন অসংখ্য গুনগ্রাহী। ওসি নজরুল ইসলাম যখন যে থানায় চাকরি করেছেন সেখানেই তাঁর সুনাম ছিল মানুষের মুখে-মুখে।

সম্প্রতি তিনি জটিল রোগ মস্তিস্কে টিউমার নিয়ে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পাশে এসে দাঁড়ান রাজশাহী-৬ চারঘাট-বাঘা উপজেলা থেকে তিন-তিনবার নির্বাচিত স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম। তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নেয়া সহ-ওসির যাবতীয় চিকিৎসা ব্যায় বহন করেন বলে নিশ্চিত করেন নজরুল ইসলামের পরিবার।

ডাক্তারদের মতে, টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই টিউমারটি যখন মস্তিষ্কের ভিতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার। এই ব্রেন টিউমারের কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। তবে শরীরের অন্য জায়গায় হওয়া ক্যানসার অনেক সময়ে ছড়িয়ে মস্তিষ্কে চলে আসে। আবার বংশগত কারণেও ব্রেন টিউমার হতে পারে। ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এক-এক সময়ে এক-এক রকম হতে পারে। এর প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ হচ্ছে-মাথাব্যথা, বমি-বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়া।

রাজশাহী জেলার (চারঘাট-বাঘা) সার্কেলের কর্তব্যরত সিনিয়ার (এ.এস.পি) নুরে আলম বলেন, আমি অনেক জায়গায় চাকরি করেছি। তবে নজরুল সাহেবের মতো ভাল মানুষ পায়নি। তিনি বাঘা থানায় যোগ দানের পর রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ট ওসি নির্বাচিত হওয়া ছাড়াও একাধিকবার নানা বিষয়ের উপরে পুরস্কৃত হয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। আমি বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম তার অস্ত্রপাচার যেন সফল হয় এবং তিনি সুস্থ হয়ে তার কর্মস্থলে ফিরতে পারেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলাম প্রথমে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বগুড়ার আদমদীঘি থানায় কমরত ছিলেন। সেখানকার উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু , আদমদীঘি প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান এবং সাংবাদিক শামসুল আলম বলেন, নজরুল ইসলামের আগে তাঁর চেয়ে ভালো কাউকে এই থানায় পাওয়া যায়নি। তিনি এলাকায় স্বততা ও আদর্শ রেখে দায়িত্বপালন করে গেছেন।

তার দ্বিতীয় কর্মস্থল ছিল পাশ্ববর্তী দুপচাঁচিয়া থানা। সেখানকার উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ফারুক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ময়েন উদ্দিন খান, সাবেক পৌর মেয়র জনাব বেলাল হোসেন ও বর্তমান পৌর মেয়র জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন সহ-উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।

আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু,আশির দশকের নেতা উপজেলা আ’লীগের অন্যতম সদস্য মাসুদ রানা তিলু এবং বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের থানার ওসি নজরুল ইসলাম আসলেই একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। তার পেশাদারিত্বে সবাই মুগ্ধ। একই কথা বলেন, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, সারদা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু, বর্তমান মেয়র একরামুল হক ও বাঘা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় লোকজন বলেন, আমরা যতটুককু দেখেছি এবং চিনি দীর্ঘ সময়ে যারা চারঘাট-বাঘা থানায় এসেছেন এবং চাকরি করেছেন তাদের বিচারেও নজরুল ইসলাম প্রকৃত অর্থেই আলাদা। তাঁর উপরে আস্থার জায়গা পেয়েছেন এলাকাবাসী।এসব লোকজনের দাবি, বর্তমান আইজিপি যে কোন সময়োর চেয়ে পেশাদারিত্ব, দক্ষ ও মানবিক। রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার সততার কষ্টি পাথরে যাচাইকৃত। আমরা চাই পুলিশ বিভাগও এই মানবিক পুলিশ কর্মকর্তার দূর্দিনে পার্শ্বে দাঁড়াবেন।