ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


রায়হান কবিরের জন্য লড়বেন মালয়েশিয়ার ২ আইনজীবী


২৬ জুলাই ২০২০ ১৮:৩৮

প্রবাসীদের নিপীড়ন নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় কথা বলায় মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ মো. রায়হান কবিরের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির দুজন আইনজীবী।

আইনজীবী সুমিতা শান্তিন্নি কিশনা এবং সেলভরাজ চিনিয়াহ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মামলার সঙ্গে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুটি ভিন্ন ফার্মের দুই আইনজীবী শনিবার রাতে জানান, তারা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে তাদের নিয়োগের বিষয়ে অবগত করেছেন।

‘চিঠিতে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার তারিখ চেয়েছি,’ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে দুই আইনজীবী বলেন, ‘সোমবার দুপুর দুইটার দিকে আমরা বুকিত আমানে থাকব।’

গত ৩ জুলাই আল-জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস মহামারীতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন রায়হান কবির।

সংবাদমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে এর সমালোচনা শুরু করে মালয়েশিয়া। দেশটির সরকার ওই প্রতিবেদনে তোলা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে।

আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকেই সাক্ষাৎকার দাতা বাংলাদেশি রায়হার কবিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার বিষয়ে তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিও দেয়া হয়। পরে রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) বাতিল করে দেয়া হয়।

এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়। গ্রেফতারের পর তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে রায়হান কবিরকে গ্রেফতার করায় মালয়েশিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এছাড়া বাংলাদেশের ২১টি সংগঠন দ্রুত রায়হানের মুক্তির দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে।

রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। তার বাবা শাহ আলম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ২০১৪ সালে তোলারাম কলেজে থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে মালয়েশিয়া চলে যান রাহয়ান। সেখানেই বিএ পাস করেন।