ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ইবির সেই ২২ শিক্ষার্থীর অবশেষে মুক্তি


২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৫৯

শিক্ষার্থীর আন্দোলন

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভূক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন থেকে ভোর রাতে ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চাপের মুখে ১৩ ঘন্টা পর মুক্তি দেয় প্রশাসন।

জানা যায়, মঙ্গলবার আমরণ অনশনে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও প্রশাসন এবং অনুষদের ডিন শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর দুইটায় অনুষদের ডিন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে অফিসের ভেতরে আটকা পড়েন অফিস সহকারী আব্দুল মমিন ও পিওন বাদল। রাত ৯টায় অবরুদ্ধ দুই কর্মচারীদেরকে উদ্ধার করতে আসেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র-উপদেষ্টা ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ। তারা ভবনের ভিতরে ঢুকলে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা। তাদের উদ্ধার করতে রাত ১ টার দিকে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আহসান-উল হক আম্বিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা রাত ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় আন্দোলককারীদের সাথে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হলে ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত অতিরিক্ত ডিএসবি, মিরপুর জোনের এএসপি এবং ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে ক্লবসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ডিন, ছাত্র উপদেষ্ঠা ও দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করেন। শিক্ষার্থীরা করিডোরে অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে শ্লোগান দিতে থাকে।

এসময় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযানে আইসিই বিভাগের সৈকত মাহমুদ, এনামূল আকাশ, মাসুদ রানা, রাজিবুল রাজ, সোহেল রানা। ইইই বিভাগের আরিফুল ইসলাম, তারিকুল, সাইফ, সৈকত, রাহুল, মোস্তফা, আশরাফুল, হাবিব, রনি এবং সিইসি বিভাগের মাহদী, রিয়াদ, রায়হান, অভি, দেলাওয়ার, হাফিজ, সাব্বির ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গেছে।