ফেমল্যাব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নূর
ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা ফেমল্যাব-২০১৯ এর বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয়েছেন এ এস এম আফরিন বিন নূর আদিব। এতে যুক্তরাজ্যের শেলটেনহ্যামে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শেলটেনহ্যাম সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ পর্বের গ্রান্ড ফিনালে শেষে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।
বিজয়ী হিসেবে নূর শেলটেনহ্যামে সফলভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এসময় পলক বলেন, ফেমল্যাব বিজ্ঞানকে একটি মজার বিষয়ে পরিণত করেছে। এটা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানের যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিযোগিতা। তরুণ ও অন্যান্য অংশের সঙ্গে যেন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা সম্পৃক্ত হতে পারে এ বিষয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদানই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে মেধাবী তরুণ-তরুণীরা বেরিয়ে আসে বলে মনে করেন এ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে সেখানে এই তরুণেরা ভূমিকা রাখবে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। ফেমল্যাবের মতো প্রাইভেট খাতে আমাদের যেসব পার্টনাররা আছেন তাদের এ ধরনের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমাদের তরুণেরা দেশ ও বিদেশের সমস্যার সমাধান করবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত প্রতিযোগীদের সবাইকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করেন। প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থী মাসুমা আফরিন তানিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এমন একটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি। এ রকম একটা বিশাল প্লাটফর্ম থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের প্রশিক্ষক যারা ছিলেন তারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছি, এটা খুবই আনন্দের বিষয়। এতদূর আসার পিছনে আমার মা-বাবার অবদানও অনেক বেশি।
ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিচারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়রা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক ডক্টর মুসতাক ইবনে আইয়ুব, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এমকে শরিফ সিয়ামসহ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৭ সাল থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিল অফ লিভের অংশীদারিত্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়ে আসছে। আর ২০১৮ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে আয়োজিত হয় এই প্রতিযোগিতা।
এবারের আয়োজনে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রামে অডিশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ৬০০ জন প্রতিযোগী আবেদন করেন। সংক্ষিপ্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় ১৫০ জন, চট্টগ্রামের ৬০ জন এবং সিলেটে ৬০ এরও বেশি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। আর চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয় ১৪ জন প্রতিযোগী।
শেলটেনহ্যামে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেল পাঁচ মহাদেশের ফাইনালিস্টদের মধ্য থেকে সবচেয়ে সহজাত ও দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করবেন।
