লাঠিচার্জ করে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশের

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ২৬ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ আরও কিছু দাবিতে নতুন বাজারে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ এর অভিযোগ এসেছে।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ শুরু করে। পরে বেলা পৌনে ১১ টায় পুলিশ তাদের চাপ প্রয়োগ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার’ এবং ‘প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা’র প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। শিক্ষার্থীরা সরে না দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং জোরপূর্বক সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কোনও ভাঙচুর বা সহিংসতা করিনি। অথচ পুলিশ এসে কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই আমাদের মারধর করে, ধাক্কা দিতে দিতে সরিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় বোঝা যায়, প্রশাসন কেবল আমাদের মুখ বন্ধ করতেই চায়। আমাদের বহিষ্কার অন্যায়ভাবে করা হয়েছে, এটা বলারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’এর আগে, ২৬ এপ্রিল তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের পর প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধু ফেসবুকে পোস্ট, মন্তব্য কিংবা মিম শেয়ারের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের পরিবারকে হয়রানি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তারা ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও সাড়া পাননি বলে দাবি করেছেন।
লাঠিচার্জের ঘটনার পরও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।