ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ইবিতে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে উত্তরপত্রের ব্যাপক অমিল


৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১২

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্নাতক (সম্মান) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্রের সাথে উত্তরপত্রের (ওএমআর) মিল নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় দিনের প্রথম শিফটে এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তিচ্ছু এবং পরিদর্শক সূত্রে জানা যায়, ‘সি’ ইউনিটের ৬০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন পত্রে ইংরেজী অংশ (১ থেকে ৩০ ক্রমিক নম্বর) প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রে ঠিক থাকলেও প্রশ্নপত্রে ব্যবসায় শিক্ষা অংশ ৩১ থেকে ৪৫ পর্যন্ত ক্রমিক থাকলেও উত্তর পত্রে উল্লেখ থাকে ৪৬ থেকে ৬০ ক্রমিক। এবং হিসাব বিজ্ঞান অংশে প্রশ্নপত্রে ৪৬ থেকে ৬০ উল্লেখ থাকলেও উত্তর পত্রে থাকে ৩১থেকে ৪৫ ক্রমিক নম্বরে। এছাড়াও লিখিত অংশের প্রশ্নপত্রে ক্রমিক ৬১থেকে ৮০ ব্যাবহার করা হলেও উত্তরপত্রে ব্যাবহার করা হয় ১ থেকে ২০ ক্রমিক।

ভর্তিচ্ছুরা জানায়, প্রশ্নপত্র ও উত্তর পত্রে অমিল থাকায় আমরা অনেকে ভুল করে ফেলেছি। তাৎক্ষণিক কক্ষ পরিদর্শকে জানালে তারা সমাধান দিতে পারেনি।

এদিকে পরীক্ষার কেন্দ্রে অসঙ্গতি দেখে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্ষ পরিদর্শনকরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের কয়েকজন হল পরিদর্শকের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘আমরা ভর্তিচ্ছুদেরকে প্রশ্নে উল্লিখিত শিরোনাম (ইংরেজী, ব্যবসায় শিক্ষা, হিসাব বিজ্ঞান) বাদ দিয়ে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত ক্রমানুসারে উত্তর দিতে বলেছি।

এছাড়া প্রশ্নপত্রে লিখিত পরীক্ষার ক্রমবিন্যাস ৬১ থেকে ৮০ পর্যন্ত হলেও তা ওএমআর শিট অনুযায়ী ১ থেকে ২০ ক্রমানুযায়ী উত্তর দিতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো কক্ষে নির্দেশনা পৌছানোর আগেই শিক্ষার্থীরা উত্তর দিয়ে ফেলে তাহলে প্রশাসন থেকে আমরা ওই কক্ষ গুলোকে শনাক্ত করে রেখেছি। এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরে সিদ্ধান্ত নেবে।’

তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের সব কক্ষে এই নির্দেশনাটি দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। কুড়িপ্রাম থেকে আসা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়েছে জসিম উদ্দীন নামে এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে সে জানায়, ‘প্রশ্নপত্রের সাথে ওএমআর এর অমিল পাওয়ার পরও পরীক্ষার হলে তেমন দিক নির্দেশনা না পাওয়ায় আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। যার ফলে আমাদের ওএমআর বাতিল হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি।’

এ বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ শাহা বলেন, ‘প্রশ্নপত্র এবং ওমমআর এর অসঙ্গতির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভর্তি পরীক্ষা শেষে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজেরে আসার সাথে সাথে আমরা প্রশাসন থেকে একটা নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু পরিদর্শকগণ আমাদের নির্দেশনা যথাযথভাবে না মানায় কেন্দ্রে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব। যাতে কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার না করা হয়।’

এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আশকারি বলেন, আমারা কারো প্রতি অবিচার করবোনা। সিদ্ধান্ত অবশ্যই শিক্ষার্থী বান্ধব হবে।

এমএ