ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


হল ছাড়েননি জাবি শিক্ষার্থীরা, ঢাবিতেও ভাঙ্গা হয়েছে তালা


২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৩৩

ছবি- সংগৃহিত

তালা ভেঙে হলে ওঠা আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা তা আমলে নিচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে হলেই অবস্থান করছেন তারা। হল ছাড়ার সময়সীমা এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের খুব একটা দেখা মিলছে না। হলে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের হলে থাকতেই দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি আবাসিক হল ঘুরে ছাত্রদের কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো অবস্থায় দেখা গেছে।

সকাল ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে উপাচার্য ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই জোর করে যারা হলে উঠে পড়েছে তাদের হল ত্যাগ করতে হবে। নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারও দেয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজারে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের পাঁচটি মোটরবাইক ভাঙচুর করেন।

রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হল খুলে দেয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

এদিকে প্রশাসনকে উপেক্ষা করে এবার হলে প্রবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রথমে শহীদুল্লাহ হলে প্রবেশ করার পর অমর একুশে হলের ভেতরেও অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজকের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থী প্রবেশ করার ঘটনা ঘটবে বলে জানা যায়।

হলে উঠে উল্লাস প্রকাশ করছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা রুমের ভেতরে রুমমেটদের সঙ্গে সেলফি নিচ্ছেন। ব্যাট-বল নিয়ে মাঠেও খেলছেন।


শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলে উঠতে আমাদের তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। হল গেইটের তালা আগেই খোলা ছিল। আমরা শুধু বড় গেইটের তালা ছাড়া আটকানো শিকল খুলে ভেতরে প্রবেশ করি।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। আমরা বাড়িতে থেকে বিরক্ত হয়ে গেছি। এখন জোর করে হলে উঠে গেছি। এখন হলেই অবস্থান করবো।

শহীদুল্লাহ্ হলের নিরাপত্তা কর্মী কামাল হোসেন বলেন, প্রথমে একজন শিক্ষার্থী হলের ভিতর থেকে মালামাল নেবে বলে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ৪০-৫০ জন জড়ো হয়ে হলে ঢোকার জন্য জোর করলে আমি তালা খুলে দেই।