ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


সন্তানদের পড়ালেখায় অনৈতিক কিছু যুক্ত করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী


৩০ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:১৬

অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা যাতে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে, মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে, পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়- অভিভাবকদের সেদিকে যত্মবান হওয়া দরকার। বড় পরিসরের এই পাবলিক পরীক্ষায় সন্তানদের পড়ালেখার সঙ্গে অনৈতিক কোনো কিছু যুক্ত করবেন না।’

বুধবার সকালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রামে ৫৪তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ ও মেরিন একাডেমির অধ্যক্ষ ড. সাজিদ হোসেন প্রমুখ।

এবারের ৫৪তম ব্যাচে নটিক্যাল শাখায় ৪৯ জন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৫৫ জনসহ মোট ১০৪ জন ক্যাডেট দুইবছর মেয়াদি অ্যাকাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. সালমান হাসান রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তাছাড়া এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তির জন্য নৌ শাখার আবু সালেহ এবং প্রকৌশল শাখার ইকবাল মাহমুদ ইকরা নৌ মন্ত্রণালয়ের রৌপ্য পদক অর্জন করেন।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত বছরের মতো এবারও প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটবে না। প্রশ্নফাঁসের কোনো গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়িয়ে মানুষের সঙ্গে যারা প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে, তাদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কিংবা প্রচলিত ধ্যান ধারণায় উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্যই আধুনিক ও বিশ্বমানের জ্ঞান-বিজ্ঞানসমৃদ্ধ প্রযুক্তি ও দক্ষতানির্ভর সমাজ গঠনে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সরকার ইতোমধ্যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আধুনিক বিশ্বের শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মেরিন একাডেমি অবদান রাখছে। শিপিং এবং মেরিটাইম সেক্টরে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে নলেজ সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু টেকনো মেরিনা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। মেরিন একাডেমি আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলরত সমুদ্রজাহাজ পরিচালনার জন্য বিশ্বমানের মেরিন অফিসার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জাতীয় প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে মেরিন একাডেমি। প্রথম ব্যাচ থেকে এ পর্যন্ত একাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত চার হাজার ৬০০ জন মেরিনারের সম্মিলিত বার্ষিক আয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতীতে একজন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দিতে প্রদান করতে হতো প্রায় ৪ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ফি হ্রাস করে ১ লাখ টাকা করেছে। শুধু তাই নয়-পাবনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেটে নির্মাণাধীন মেরিন একাডেমিগুলোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এখন থেকে কম খরচে আরও অধিক সংখ্যক ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। এরই মধ্যে এ একাডেমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে।’

নতুনসময়/আইকে