হাসপাতালের টয়লেটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের টয়লেটে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো রুবিনা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর লাশ পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, এই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে এই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন- তা স্পষ্ট নয়।
উপজেলার ল্যূথারান হেলথ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত রুবিনা আক্তারের বাড়ি দুমকি উপজেলার বাহেরচর গ্রামে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ছয় মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে ল্যূথারান হেলথ কেয়ার হাসপাতালে আসেন মা রুবিনা আক্তার। শিশুটি ডায়রিয়ায় ভুগছিল। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শিশুটিকে হাসপাতালের বেডে রেখে টয়লেটে যান রুবিনা আক্তার। পরে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
হাসপাতালটির প্রশাসন ও জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক ডেভিড ঘোষ বলেন, রাত ১২টার দিকে নার্সিং বিভাগ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের মা সরভানু বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রুবিনা আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলেছে। কথা শেষে বলে, মা আমার এই নম্বর ডিলেট করে ফেল।
নিহতের স্বামী সাইফুল ইসলাম বলেন, কারো বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।
দুমকি থানা পুলিশ জানিয়েছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুমকি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
এদিকে হাসপাতালে থাকা রুবিনার অসুস্থ শিশুটিকে শুক্রবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।