তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে ‘ধারের’কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ

মোঃ সোহেল রানা,পিতা-মো: আ: ছাত্তার, গ্রাম: ঘোড়াবান্ধা,পোস্ট-হালিম নগর,থানা পলাশবাড়ী,জেলা-গাইবান্ধা নামের একজন ভাংরী মালামাল ক্রয়ের পাইকারী ব্যবসায়ী মোঃতৌহিদুর রহমান তুহিন নামের একজনের সাথে ৩০০ শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর করে টাকা ধার করার কৌশলে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,ঢাকা তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় সোহেল রানার “মা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ” নামীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।ব্যবসা পরিচালনার জন্য রানার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় এবং টাকা সংগ্রহের অন্য কোন উপায় না থাকায় তুহিনের সাথে রানার পূর্ব থেকে সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে রানা তুহিনের নিকট থেকে ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের শর্তে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা ধার চাইলে তুহিন মানবিক কারনে রানার প্রস্তাবে সম্মত থাকায় ১০ জানুয়ারি ১৯ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সময় অনুমান সকাল ১০ টার দিকে রানা তুহিনের বাড়িতে এসে কতিপয় সাক্ষীগনের সামনে তুহিনের নিকট থেকে ৩০০(তিনশত) টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করে একযোগে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা ধার গ্রহন করেন।
এদিকে সোহেল রানার দেওয়া অঙ্গীকার মোতাবেক উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে তুহিন,রানার নিকট গিয়ে ধারকৃত টাকা ফেরত চাইলে রানা টাকা ফেরত দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করেন। পরবর্তীতে তুহিন গত ২৩ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে বিজ্ঞ কৌশুলীর মাধ্যমে সোহেল রানার বরাবরে ০৭(সাত) দিনের সময় দিয়ে একখানা লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও সোহেল রানা তাতেও কোন সাড়া না দিলে তুহিন অবশেষে নিরুপায় হয়ে রানার নিকট থেকে টাকা আদায়ের জন্য রানা কে বার বার মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলেও রানা তাতে সাড়া না দিয়ে ধারকৃত ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
উল্লেখ্য,৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ‘ধারের’ কৌশলে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলি আদালত গাইবান্ধা বরাবরে তুহিন একটি মামলা দ্বায়ের করেন।